শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অষ্টাদশ অধ্যায়
অষ্টাদশ অধ্যায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মোক্ষযোগ ত্যাগ সাধনার সার্থক উপলদ্ধি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেছেন ত্যাগের অর্থ এবং মানুষের ভাবনা ও কার্যকলাপের উপর প্রকৃতির গুনাবলির প্রতিক্রিয়াগুলি কেমন হয়।তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ব্রহ্ম উপলদ্ধি ভগবদ্গীতার মাহার্থ চরম উপসংহার ধর্মের সর্বচ্চো পস্থা হচ্ছে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের উপদ্দেশ্যে নিঃশর্ত আত্ম সমপন।যার ফলে সর্ব পাপ থেকে মুক্তি লাভ হয়।সমখ জ্ঞান উপলদ্ধি অর্জিত হয় এবং শ্রীকৃষ্ণের শ্বাশর্ত পরম ধামে প্রত্যাবর্তন করা যায়।
যারা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়ার সময় পান না তাদের অবশ্যই ভিডিওটা দেখতে ভুলবেন না।
মোক্ষযোগ এর সারাংশ
অর্জুন সন্ন্যাস ও ত্যাগ বিষয়ে বিশদ ভাবে জানতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন, স্বর্গাদি অশ্বমেধাদি যজ্ঞ প্রভৃতি কর্মের ফললাভের ইচ্ছা পরিত্যাগ করে যে সব কর্মের অনুষ্ঠান হয় তা হল সন্ন্যাস| আর যে সকল নিত্য-নৈমিত্তিক কর্ম অনুষ্ঠিত হয় তাদের যে ফল অনুষ্ঠাতার হবার সম্ভাবনা থাকে সেই ফলের আকাঙ্খা পরিত্যাগ পূর্বক যদি করা হয় তা হল ত্যাগ| ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শিক্ষা দিলেন যে যজ্ঞ, দান ও তপস্যারূপ কর্ম কারও পক্ষে ত্যাগ করা উচিত নয়| কারণ এরা ফলাকাঙ্খাত্যাগী মনীষিগণের চিত্তশুদ্ধিকারক| তিনি আরও বললেন যে নিত্য-নৈমিত্তিক কর্মও ত্যাগ করা উচিত নয় কারণ এগুলিও চিত্তশুদ্ধিকারক| কর্মে আসক্তি ও কর্মফল ত্যাগপূর্বক নিষ্কাম কর্মের অনুষ্ঠাতা সত্ত্বগুণ অবগত হয়ে আত্মজ্ঞান লাভ করেন| কর্তৃত্ব অভিনিবেশরূপ আসক্তি ও ফলকামনা ত্যাগ করে কেবল কর্তব্যবোধে যে বিহিত কর্ম অনুষ্ঠিত হয় সেই ত্যাগই হল সাত্ত্বিক ত্যাগ| যিনি কর্মফল লাভের বাসনা ত্যাগ করে কর্ম করেন তিনিই ত্যাগী| তিনি তখন কাম্য কর্মে দ্বেষ করেন না ও নিত্য কর্মে আসক্ত হন না| সেইজন্য তিনি কোন কর্মফল ভোগ করেন না|